ইসলামিক অনলাইন মাদ্রাসায় প্রতিটি বিষয়ের উপর ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়ে থেকে। পূর্ণ নম্বরকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়। এখানে মেধা মূল্যায়ন পদ্ধতি দেওয়া হয়েছে:-
পরীক্ষার মানবন্টন | ||
---|---|---|
পরীক্ষা | পূর্ণমান | প্রকৃত নম্বর |
অ্যাটেনডেন্স | ১০ | ১০ |
ক্লাস টেস্ট | ৩০ | ২০ |
মিডটার্ম | ৫০ | ৩০ |
ফাইনাল | ১০০ | ৪০ | মোট | ১৯০ | ১০০ |
- অ্যাটেনডেন্স-১০% প্রতিটি বিষয়ের ১০০ নম্বরের মধ্যে ১০ নম্বর দেওয়া হয় অ্যাটেনডেন্স এর উপর। অর্থাৎ, আপনি যদি প্রতিটি ক্লাসে অংশগ্রহণ করেন তাহলে ১০ নম্বর পাবেন। জুম অ্যাপের মাধ্যমে ক্লাস করার সময় আপনার রোল দিয়ে ক্লাস করলেই কেবল অ্যাটেনডেন্স কাউন্ট হয়। উল্লেখ্য যে, প্রতিটি সাবজেক্টের জন্য আলাদা আলাদা অ্যাটেনডেন্স কাউন্ট করা হয়ে থাকে।
- ক্লাস টেস্ট-২০% সাধারণত ৭টি (কম-বেশী হতে পারে) ক্লাস শেষ হলে ক্লাস টেস্ট দিতে হয়। ক্লাস টেস্ট এর উপর ২০নম্বর থাকে। ক্লাস টেস্টে সাধারণত ৩০ নম্বরের পরীক্ষা হয়ে থাকে। তাজবীদসহ কিছু সাবজেক্টে ভাইভা হয় এবং বাকী সাবজেক্টগুলো MCQ আকারে হয়। MCQ পরীক্ষা ইসলামিক অনলাইন মাদ্রাসা কর্তৃক নির্ধারিত দিনগুলোর যেকোনো দিনে দেওয়া যায়। তবে, ভাইভা পরীক্ষা নির্ধারিত সময়েই দিতে হবে।
- মিডটার্ম-৩০% সাধারণত ১৫টি (কম-বেশী হতে পারে) ক্লাস শেষ হলে মিডটার্ম পরীক্ষা দিতে হয়। মিডটার্ম এর উপর ৩০নম্বর থাকে। মিডটার্মে সাধারণত ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হয়ে থাকে। তাজবীদসহ কিছু সাবজেক্টে ভাইভা হয় এবং বাকী সাবজেক্টগুলো MCQ আকারে হয়। MCQ পরীক্ষা ইসলামিক অনলাইন মাদ্রাসা কর্তৃক নির্ধারিত দিনগুলোর যেকোনো দিনে দেওয়া যায়। তবে, ভাইভা পরীক্ষা নির্ধারিত সময়েই দিতে হবে।
- ফাইনাল-৪০% সবগুলো ক্লাস শেষ হলে ফাইনাল পরীক্ষা দিতে হয়। ফাইনাল পরীক্ষায় মোট নম্বরের ৪০ নম্বর থাকে। ফাইনাল সাধারণত ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়ে থাকে। তাজবীদসহ কিছু সাবজেক্টে ভাইভা হয় এবং বাকী সাবজেক্টগুলো MCQ আকারে হয়। MCQ পরীক্ষা ইসলামিক অনলাইন মাদ্রাসা কর্তৃক নির্ধারিত দিনগুলোর যেকোনো দিনে দেওয়া যায়। তবে, ভাইভা পরীক্ষা নির্ধারিত সময়েই দিতে হবে।
কিছু প্রশ্নোত্তর
পাশ মার্ক কত?
ফাইনাল এক্সাম হবার পর সবমিলিয়ে ৪০% মার্ক পেলেই পাশ। শুধু তাজবীদ তিলাওয়াতে ৭০% নাম্বার পেলে পাশ। তবে উভয়ক্ষেত্রেই ফাইনাল এক্সাম এটেন্ড করা বাধ্যতামূলক। ফাইনাল এক্সাম না দিয়ে কোনোভাবেই পাশ করা যাবেনা।
পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে কি হবে?
পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে কিংবা আশানুরূপ ফলাফল না হলে রিটেক পরীক্ষা দিতে হবে। রিটেক পরীক্ষা দিতে প্রতি সাবজেক্টের জন্য ৫০০ টাকা ফি দিতে হবে। রিটেক পরীক্ষা দিতে সাপোর্টে গিয়ে এক্সাম রিসেট / পুওর ফান্ড ডিপার্টমেন্ট এ যোগাযোগ করতে হবে।
নির্ধারিত সময়ের পরীক্ষা দিতে না পারলে কি করণীয়?
ক্লাসটেস্ট এবং মিডটার্ম পরীক্ষায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এক্সাম এটেন্ড করতে না পারলে এমসিকিউ এক্সাম শেষ হবার ৭ দিনের মধ্যে লেট ফি প্রদান পূর্বক এক্সাম দেয়া যাবে। তবে ফাইনাল পরীক্ষায় এতদিন সময় দেয়ার সুযোগ থাকেনা। তখন এমসিকিউ এক্সাম শেষ হবার সর্বোচ্চ ৩ দিনের মধ্যে এক্সাম এটেন্ড করার সুযোগ নেয়া যায়।
পরীক্ষার ফি কতদিনের মধ্যে দিতে হবে?
পরীক্ষার ফি দেয়ার শেষ তারিখ পরীক্ষা শুরুর কিছুদিন পূর্বেই জানিয়ে দেয়া হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফি প্রদান করা যাবে।
বোনদের ভাইভা উস্তায নিবেন নাকি উস্তাযা?
বোনদের ভাইভা মাশকের টিচারই নিয়ে থাকেন। অর্থাৎ বোনদের ভাইভা বোনেরাই নেন। ভাইদের ভাইভা উস্তাযগণ নেন।
পরীক্ষা ফি কত টাকা?
ক্লাস টেস্ট এর কোন ফি নেই। মিডটার্ম পরীক্ষার ফি ৩০০ টাকা এবং ফাইনাল পরীক্ষার ফি ৫০০ টাকা।
এক্সামে ১/২ সাবজেক্টে এক্সাম না দিলে আমি কি নেক্সট সেমিস্টার কনটিনিউ করতে পারবো?
জ্বী, ১/২ সাবজেক্টে ফেইল আসলে বা পরীক্ষা না দিলে পরবর্তীতে সেমিস্টার কনটিনিউ করতে পারবেন তবে এক্ষেত্রে উক্ত দুটি সাবজেক্টে রিটেক ফি দিয়ে রিটেক দিতে হবে ইনশাআল্লহ।
রিটেক কিভাবে দিবেন তা উপরের প্রশ্নের উত্তরে লেখা হয়েছে।
৩ বা এর অধিক সাবজেক্টে এক্সাম না দিলে বা পরীক্ষায় ফেইল আসলে আমার করণীয় কি?
৩ বা এর অধিক সাবজেক্টে ফেইল আসলে বা পরীক্ষা না দিলে ওই একই সেমিস্টারে রিএডমশন নিয়ে পড়া কনটিনিউ করতে হবে।
যদি আমি কোনো কারণবশত ফাইনালের কোনো এক্সাম দিতে না পারি তবে আমি কি পরবর্তী সেমিস্টার কনটিনিউ করতে পারবো?
উত্তর কোনো কারণে ফাইনাল পরীক্ষা না দিতে পারলে উক্ত সেমিস্টারে আবারও রিএডমিশন নিয়ে পড়া কনটিনিউ করতে হবে। নতুন সেমিস্টারে কনটিনিউ করার সুযোগ নেই।